
প্রাইম প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেছেন, তারা যদি বাড়াবাড়ি করে বাংলার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ১৯৭১ সালের মত ওই কাঠমোল্লাদের পরাজিত করে তাদের ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের পায়ের তলে নিয়ে আমরা বিচার করবো।
সোমবার ৭ই ডিসেম্বর দুপুরে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন দেখা যায় আমার বাচ্চা বাচ্চা শিশুরা আপনাদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তখনতো আপনাদের কাছ থেকে কোন প্রতিবাদ আসে না। এই কাঠমোল্লাদের কাছ থেকে কোনরকম ফতুয়া আসে না। এই ফতুয়াবাজরা ভিন্ন উদ্দেশ্যে, ভিন্ন কারণে আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযোদ্ধা , ইতিহাস, জাতীয় পতাকা ও আমাদের জাতীয় সংগীত তারা বিতর্কিত করতে চায়। এই বিষয়গুলিকে আজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমরা চাই তারা আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
দিপু বলেন, এ বিজয়ের মাসে ৭১’এর পরাজিত শক্তি কাঠমোল্লারা আমার মা-বোনদের ইজ্জত লুটে নিয়েছিল ও আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তখন তারা ফতুয়া দিয়েছিল, মা-বোনের ইজ্জত লুটা নাকি জায়েজ। চাঁদে যেসকল মানুষ যায় তারা কাফের। আবার ফতুয়া দিয়েছে ছবি তোলা হারাম। কিন্তু আজকে তারা কথায় কথায় ছবি তোলে। কথায় কথায় মিডিয়া কনফারেন্স করে তারা আলোচনায় আসতে চায়।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের সংবিধানে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আজকে জাতির জনকের ভাষ্কর্যে তারা হাত দেয়। আমি মনে করি এটা দেশদ্রোহিতার সামিল। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের দেশদ্রোহিতার আওতায় এনে বিচার করতে হবে। যারা ভাষ্কর্য ভাঙ্গার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা, বিবৃতি দিয়েছে, ফতুয়া দিয়েছে ওই তথাকথিত আলেমদের দেশদ্রোহিতার অভিযোগে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিৎ। এই কাঠমোল্লাদের কোন বক্তব্য বাংলাদেশের ও বিশ্বের মানুষ গ্রহণ করে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা কিয়াম পড়লে, মিলাদ পড়লে রাসুল (স.)সম্মানে যে শায়ের আমরা পাঠ করি “বালাগাল উলাবিকা মালিহি…” এ শায়ের যিনি লিখেছেন শেখ সাদী (র.) তার ভাষ্কর্যও তেহরানে আছে। ইরান তাদের ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। তাদের যে ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা খমেনির ভাষ্কর্য সেখানে আছে। জালালুদ্দিন রুমির ভাষ্কর্য ইরানে আছে। ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরবে বাদশার ভাষ্কর্যও সেখানে আছে। তারা কি মুসলমান না? আপনাদের কথায় তারা কি কাফের?
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা , জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. মাসুদুর রউফ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেকসভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল , এড. সেলিনা ইয়াসমিন, এড. কামরুল আহসান কামরুল প্রমূখ।
No posts found.